‘স্যাম বাট্রাম’ জন্মগ্রহণ করেন ২২শে জানুয়ারি-১৯১৪ সালে ইংল্যান্ড এর জ্যারো, কাউন্টি ডারহাম। তিনি একজন প্রফেশনাল ফুটবলার ছিলেন( গোল রক্ষক) ।
স্কুল জীবন শেষ করে স্যাম বার্টরাম একজন খনি শ্রমিক হয়েছিলেন এবং ইংল্যান্ডের উত্তর-পূর্বে নন-লীগ ফুটবলে সেন্টার-ফরোয়ার্ড বা উইং-হাফ হিসেবে খেলেন। কিশোর বয়সে তিনি রিডিংয়ের সাথে একটি ব্যর্থ ট্রায়াল করেছিলেন। 1934 সালে যখন তার স্থানীয় গ্রামের ক্লাব বোল্ডন ভিলা একটি কাপ ফাইনালে গোলরক্ষক ছাড়াই ছিল, তখন বারট্রাম গোলের দায়িত্ব নেন। চার্লটন অ্যাথলেটিকের একজন স্কাউট, অ্যান্থনি সিড, খেলা দেখছিলেন এবং বার্ট্রাম এত ভালো খেলেছিল যে বীজ তাকে তার ভাই জিমি বীজ, চার্লটন সেক্রেটারি ম্যানেজারের কাছে সুপারিশ করেছিল। অ্যান্টনি বীজ উত্তর পূর্বে চার্লটনের প্রধান স্কাউট ছিলেন।
তার জীবনকে আমাদের কাছে স্মরণীয় রেখেছে একটি ঘটনা। সেটা হলো
১৯৩৭ সালে চেলসি বনাম চার্লটনের ম্যাচের। প্রচুর কুয়াশার কারণে রেফারি মাঝপথে খেলা সমাপ্ত ঘোষণা করেন। সবাই ড্রেসিং রুমে ফিরে যায়। কিন্তু চেলসির গোলরক্ষক “স্যাম বাট্রাম” থেকে যান গোল পাহার। কুয়াশা বাড়ার সাথে সাথে, বেড়ে যাচ্ছে তার সতর্কতা। পেছনে মানুষের কোলাহলে তিনি শুনতে পাননি রেফারির খেলা সমাপ্তির বাঁশী। অনেকক্ষণ পর, মাঠের একজন নিরাপত্তা কর্মী এসে তাঁকে জানায় ম্যাচটি প্রায় পনের মিনিট আগেই শেষ হয়ে গেছে।
স্যাম বাট্রাম বলেন, ‘না এটা হতে পারেনা।আমি বিশ্বাস করিনা। খেলা শেষ হয়ে গেলে বন্ধুরা অবশ্যই আমাকে বলতো। আমাকে মাঠে একা রেখে ওরা চলে যেতোনা। একজন মানুষও কি ছিলোনা- যে আমার খোঁজ করবে’। যখন সত্যি তিনি বুঝতে পারলেন খেলা শেষ হয়ে গেছে। তখন স্যাম অনেক দুঃখ পেলেন, খেলা শেষ হওয়ার জন্য না। বরং বন্ধুরা যে সত্যিই তাকে না জানিয়ে চলে গেছে সে জন্য। যাদের জন্য তিনি গোল পাহারায় দাঁড়িয়ে ছিলেন- তারা সবাই চলে গেলো। কেউ তার স্মরণ করিনি।
এই ঘটনার মাধ্যমে তিনি আমাদেরকে শিক্ষা দিয়ে যান, জীবনটাও এমনি এক খেলার মাঠ। যেখানে সময় দিয়ে, সামর্থ্য দিয়ে যাদের ডিফেন্ড করা প্রয়োজন হয়ে দাঁড়ায়- সামান্য কুয়াশার পরিস্থিতিতে তারাই এভাবে সব কিছু ভুলে চলে যায়।
পরবর্তীতে তিনি ৬৭ বছর বয়সে ১৯৮১ সালে হারপেন্ডেন এলাকাই ইংল্যান্ড-এ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।