স্বাস্থ্য ডেস্ক: ত্বক ফর্সা করার উপায় সবাই চায়। যে কোনও উপায়ে ত্বক উজ্জ্বলতা বা ফর্সা করার জন্য বিভিন্ন ক্রিম ব্যবহার এবং চিকিৎসার মাধ্যমে ত্বক ফর্সা থাকে।
কারণ প্রতি ব্যক্তির ত্বকের ধরণ এবং অবস্থা ভিন্ন থাকে, কারো উজ্জল ফর্সা, কারো শ্যামলা, কেউ কালো এই থেকে মুক্ত থাকার জন্য সবাই ত্বক ফর্সা করে। কিছু ক্রিম ব্যবহারের মাধ্যমে ত্বক ফর্সা করা যায়। সাধারন উপায়ে ত্বক ফর্সা করার জন্য ক্রিম ব্যবহার উল্লেখযোগ্য কার্যকর। এই উপায়গুলি আপনার ত্বকের জন্য কিছুটা সময় নেয়, তাই এগুলি প্রতি দিন প্রয়োজন হয়।
নিম্নে ত্বক পরিস্কার রাখার জন্য বা কিভাবে ত্বক ফর্সা করে তার উপায় দেওয়া হলো।
১. পর্যাপ্ত পানি পান:
প্রতিদিন যত্ন নেয়া গুরুত্বপূর্ণ যে আপনার ত্বক সুস্থ রাখতে পুরস্কৃত হয়েছে, এটি প্রতিদিন প্রয়োজনীয় পানি প্রদান করে। পর্যাপ্ত পানি পাওয়া ত্বকে তার স্বাস্থ্যকর অবস্থা বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং পুরানো কোলাজেন স্তর বজায় রাখে, যা ত্বক ফর্সা করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
২. পুরানো কোলাজেন সংক্রান্ত খাদ্য:
ত্বক সুস্থ রাখতে পুরানো কোলাজেন গুণগত ভুমিকা পালন করে। পুরানো কোলাজেনে হাইড্রোক্সি প্রোলিন আছে, যা ত্বকে সোজা রেখে তার স্বাভাবিক সুস্থ্য ফর্সা করে। এই ধরনের খাদ্যে সম্পৃক্ত সামগ্রী হতে পারে সামান্য গুণগত তৈরি মাংস, মাছ, কোলাজেন সাপ্লিমেন্ট, তাজা সবজি এবং ফল।
৩.অলিভ ও ভিটামিন সি:
অলিভ এবং ভিটামিন সি ত্বক ফর্সা করার জন্য অনেক উপকারী। অলিভ ত্বকে মুখ্যভাবে হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে এবং ভিটামিন সি ত্বককে সুরক্ষা করতে সাহায্য করে এবং কলাজেন উৎপন্ন করতে সাহায্য করতে পারে।
৪. সুস্থ খাদ্য ও জীবনযাপন:
ত্বক সুস্থ ও ফর্সা রাখতে শুধুমাত্র বাইরের যোগান নয়, বরং আপনার নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এবং আহারবিধির মধ্যেও পরিস্থিতি রয়েছে। সুস্থ খাদ্য খাওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম এবং নিয়মিত স্নান ত্বককে সুস্থ এবং ফর্সা রাখে।
৫. ত্বক সুস্থ রাখতে সুর্যের আলো:
ত্বকে আপনি আপনার বাড়ীতে রাখা ফেস ওয়াস মেখে ১০/১৫ মিনিট হাল্কা সুর্যতে রাখুন, সেটা হতে পারে বিকেল বা সকালের হাল্কা সুর্যের তাপ। গবেষনায় দেখা গেছে মুখসূর্যাস্তে বেরিয়ে আসা একটি অচ্ছা অভ্যন্তরীণ উপায় ত্বক ফর্সা করতে সহযোগিতা করে। সূর্যাস্তে সূর্যের আলো ত্বক অভ্যন্তরে ভিতর হোলোজেন উৎপন্ন করতে সাহায্য করে এবং ত্বক সজীব করতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে। তবে, সূর্যাস্তে অধিক সময় কাটাতে যাওয়ার আগে সূর্যের ক্রিয়া সময়ে নিজেকে প্রোটেক্ট করার জন্য সূর্যরক্ষা ব্যবহার করতে যেনো না ভুলেন। কখনো কড়া রোদ্রের মধ্যে ত্বককে লাগাবেন না, খুব গরম পেলে ত্বক উজ্জ্বল নস্ট হয়। প্রয়োজনে ত্বক ফর্সা করার জন্য রোদে ছাতা নিয়ে যাতায়াত করবেন।
৬. ত্বকের যত্ন:
তোমার ত্বকের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রদান করা উপাদানের ভিত্তিতে ত্বকের যত্ন নেওয়া সামগ্রীগুলি একই সাথে ত্বক পরিষ্কার এবং মুসকান করে। ভাল ত্বক যত্ন শমস্কার, টোনার, ময়লিস্টাইজার এবং সানস্ক্রিন এমনকি নাইট ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে।
৭. ত্বকের যত্নে ব্যায়াম:
নিয়মিত ব্যায়াম করা ত্বককে সুজীব এবং ফর্সা রাখতে সাহায্য করতে পারে। ব্যায়াম করার ফলে শরীরের ব্লাড সার্কুলেশন বাড়ায়, যা ত্বকে পৌঁছে সাজুক করতে সাহায্য করে এবং ত্বককে সুস্থ রেখে তার যৌবন্ন বজায় রাখে।
৮. ত্বকের যত্নে নিয়মিত ঘুম:
শক্তিশালী এবং নিয়মিত ঘুম ত্বকে সুস্থ এবং ফর্সা রাখতে সাহায্য করতে পারে। যদি আপনি ত্বক যত্ন নেওয়ার জন্য দিনে ২ ঘন্টা বা তার বেশি ঘুমাতে পারেন, তবে ত্বক কোমল হবে।
৯. ধূমপান ত্যাগ:
ধূমপান করা ত্বক ও স্বাস্থ্যের জন্য খুব ক্ষতিকর। এটি ত্বককে কোমল করতে বাধা দেয়। ধূমপানের কারণে ত্বক উজ্জ্বলতা হারিয়ে যায়। তাই ত্বক ফর্সা করার উপায় হিসেবে ধুমপান থেকে বিরত থাকতে হবে।
১০. নিয়মিত ফেসিয়াল করা:
ত্বক ফর্সা করার জন্য নিয়মিত ত্বক ফেসিয়াল করবেন। এবং সবসময় ফেসওয়াশ ব্যবহার করবেন। ত্বকে কখনো সাবান ব্যবহার করবেন না।
আরো পড়ুন: শীতে শিশুদের যত্ন
একজন সুন্দর ব্যক্তির সাথে সুন্দর এবং পূর্ণ ত্বক সাধারনতো মানবজীবন বা জীবনযাত্রার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। তবে, ত্বকের সঠিক যত্ন না নেলে, এটি অসুস্থ, বিকৃষ্ট, এবং অসুন্দর হতে পারে। তাই ত্বক যত্ন নেওয়ার নিয়ম জানতে হবে।
ত্বক ফর্সা করার জন্য বিভিন্ন উপায় ও পদক্ষেপ আছে, যা সাধারনতো যত্নের মাধ্যমে ত্বক ফর্সা করা যায়। নিম্নে সেগুলো তুলে ধরা হলোঃ
নিয়মিত শৌচ করা: ত্বকের সাথে মিলে অস্বাস্থ্যকর পদার্থ সরানোর জন্য নিয়মিত শৌচ করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি ত্বকের মুখ্য পরিসর থেকে অসচেতন করে এবং অসুস্থ্যকর পদার্থ দূর করে। নিয়মত প্রসাব বা পায়খানা করা উত্তম। প্রসাব পায়খানা ধরে না রাখাই উত্তম।
যত্নশীল পরিসর: আপনার পরিসরের পরিষ্কারতা বজায় রাখতে আপনি যত্নশীল হতে পারেন। আপনার কাপড়, পোশাক-পরিচ্ছদ, বাসন পরিষ্কার রাখবেন।আপনার পোষাক নিয়মিতভাবে ধুতে এবং পরিষ্কার থাকতে হবে। ধোওয়ার সময়ে উজ্জ্বল সাবান এবং আগে ব্যবহৃত পোষাক অবশ্যই শুকিয়ে নিতে হবে।
উপযুক্ত পোষাক: আপনার ত্বকের ধরণ অনুযায়ী উপযুক্ত পোষাক ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ। ত্বকের প্রকৃতি, ধরণ, এবং সময়ে উপযুক্ত পোষাক ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ বজায় রাখবে।
উজ্জ্বল খাবার খাওয়া: উজ্জ্বল এবং সুস্থ ত্বকের জন্য উজ্জ্বল খাবার গুলির মাধ্যমে আপনি ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরে পাবেন।। তাজা ফল এবং শাক-সবজির সমৃদ্ধি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি উপায়।
ত্বকের জন্য নিয়মিত পরিসর কেয়ার: নিয়মিত পরিসর কেয়ার মাধ্যমে ত্বককে তার সঠিক পুনরায় জীবন্ততা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করা যায়। ত্বকের জন্য মাস্ক, স্ক্রাব, এবং মইস্চারাইজার ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ।
স্কিনকেয়ার পণ্য ব্যবহার: যৌবন্য স্কিনকেয়ার পণ্য ব্যবহার করতে সাহায্য করতে পারে ত্বককে তার জীবন্ততা এবং উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে। তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক ঔষুধ ব্যবহকর করবেন।
নিয়মিত ত্বক চেকআপ: পেশাদার চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন এবং নিয়মিত ত্বক চেকআপ করাবেন। আপনি যদি কোনোভাবে ত্বক সমস্যার সম্মুখীন হন, তাদের সাথে কথা বলুন এবং যোগাযোগ করুন।
এই উপায়গুলি মাধ্যমে আপনি আপনার ত্বককে ফর্সা এবং সৌন্দর্যময় রাখতে পারেন। তবে, মনে রাখতে হবে যে, প্রতিটি ব্যক্তি একই ধরণের ত্বকের ধরন না থাকতে পারে, তাই সঠিক উপায়টি আপনার ত্বকের প্রকৃতি এবং প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী যত্ন নিবেন।
এসনিউজ২৪ snews24.com যা স্যাটেলাইট satellite news24 এ এই আর্টিকেলটি তুলে ধরা হয়েছে।
One thought on “ত্বক ফর্সা করার উপায়”